Custom Search

Friday, May 2, 2014

মোদি বনাম কেজরিওয়াল

ভারতের পবিত্র নগর বলে পরিচিত বেনারসের ভোটারদের এখন রোজ ঘুম ভাঙে নরেন্দ্র মোদি ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের লড়াইয়ে নিত্যনতুন চমক দেখার আশায়।  এই দুই নেতাকে নিয়ে অনেকটা বিভক্ত হয়ে পড়েছে বেনারস। অভিজাত এলাকা ভেলুপুরা থেকে শুরু করে রসুলপুরের অলিগলি পর্যন্ত সবাই কেজরিওয়ালের স্থিরসংকল্পের সমর্থক। শহরের একজন শিক্ষাবিদ দীপক মাধক দুঃখ নিয়ে বলেন, কেজরিওয়াল শুধু একটি আসন থেকেই লড়ছেন।
আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা ও স্বেচ্ছাসেবীরা বলছেন, এটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো লড়ায়ই শেষ হবে না। তাঁরা অভাবনীয় কোনো কিছুর অপেক্ষা করছেন। জনতা দল (ইউ) কেজরিওয়ালকে সমর্থন দেওয়ার পর থেকে এএপির জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই লড়াইয়ে ভালোই মজা পাচ্ছেন। তাঁর দাবি, কেজরিওয়ালের নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগেই মোদির প্রচারণা শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা গত ডিসেম্বরে প্রচারকাজ শুরু করেছি। এখন আমরা এক মাসের বেশি সময় ধরে ভোটারদের কাছ থেকে আমাদের প্রতি সমর্থন নিশ্চিত করতে কাজ করছি।' তিনি বলেন, '২০০৯ সালে এই আসনে মুরলি মনোহর জোসি কিছু ভোটের জন্য হেরে যান। এবার এই  কিছু ভোটই প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বেনারসবাসীর দায়িত্ব। আপনারা খুব সহজেই একজন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী পাবেন না।' মোদি এখন বেনারসে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি অনুষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আরএসএস এবং এর সামনের সারির সংস্থাগুলো 'হিন্দুত্ববাদের' ব্র্যান্ড তৈরিতে ব্যস্ত।

অন্যদিকে এএপিও থেমে নেই। দলটির প্রচারণার মূল বক্তব্য হলো, মোদি মোটেও বদলে যাননি, তিনি নিছক একজন বিকল্প। কেজরিওয়ালের গুণগ্রাহী ও সমর্থকেরা এটা পছন্দ করছেন। তবে তা মোদির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা এবং তাঁকে একজন কুখ্যাত খুনি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যথেষ্ট নয়। এএপি শহরটিকে সচল রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করছে। পুরো দেশ থেকে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী এখানে এসে প্রচারে অংশ নিলেও তা যথেষ্ট নয়। তাদের প্রচারের ধরন বিজিপি ছাড়া অন্যদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় একজন সিপিআই নেতা বলেন, সমস্যা হলো স্বেচ্ছাসেবীরা ভোটারদের চেনেন না। আবার ভোটাররাও তাঁদের চেনেন না। স্বেচ্ছাসেবীরা ভোটারদের নজর কাড়তে পারছেন, বাস্তবে মন কতটা বদলাতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে সিপিআই প্রকাশ্যে এএপির পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে।

No comments: