Custom Search

Sunday, May 4, 2014

৭ খুন মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ আলোচিত ৭ হত্যা মামলা তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মুহিদ উদ্দিন। রোববার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমনটাই দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, ৭ জনের হত্যাকাণ্ডটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাই এ মামলার তদন্ত কাজও পরিকল্পনা মাফিক এগুতে হবে। সকল তথ্য সংগ্রহ করে আমরা একটি স্বস্তির জায়গায় পৌছাতে চাই। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
তদন্ত কাজে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, অভিযানের দিন নূর হোসেনের বাড়িতে ১৬ জন ছিলো। এদের মধ্যে থেকে ৫ জনের কোন সম্পৃক্ততার কোন প্রমাণ নেই। বাকি ১১ জনের কারো বাড়ি সেখানে না হওয়ায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের মোবাইল ফোন যে ২জনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সকল তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এছাড়াও নূর হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া প্রাইভেটকারটির ব্যাপারে বিআরটিএ থেকে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের খুনীদের হুমকি দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে যে মোবাইল নাম্বারটি দেওয়া হয়েছে। সেই মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখা গেছে। ওই মোবাইল থেকে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কোনো কল দেওয়া হয়নি। তবুও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। বিশেষ করে মামলার বাদীদের ক্ষেত্রে সেটা আরও কঠোর।
হত্যাকাণ্ডের শিকার ৭জনকে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে নাকি জীবিত অবস্থায় নদীতে ফেলে দেওয়া হয় এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। এতো দেরিতে কেন নূর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালানো হলো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে অভিযান চালাতে হয়। যখন তখন আমরা অভিযান চালাতে পারিনা। এতে করে মামলার তদন্ত কাজ ব্যাঘাত ঘটতে পারে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযানটি চালানো হয়। গত রোববার একটি মামলায় নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন নজরুল। দুপুরের পর তিন সঙ্গীকে নিয়ে প্রাইভেটকার নিয়ে বের হন তিনি, গাড়ি চালাচ্ছিলেন জাহাঙ্গীর। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ওঠার পরপরই এই পাঁচজনকে অপহরণ করা হয়। ওই সময় থেকে নিখোঁজ ছিলেন অ্যাডভোকেট চন্দন ও তার গাড়িচালক। অপহরণের ৩দিন পর তাদের লাশ বুধবার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।

No comments: