আতঙ্কের শহরে কান্নার রোল
একসঙ্গে সাত ব্যক্তি অপহরণের তিন দিন পর বুধবার নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলামসহ ছয়জনের লাশ পাওয়া যায়। ওই দিন শহরে স্বজন-সতীর্থদের কান্নার রোল পড়ে যায়। ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে পাঠক জে হোসেইনের মন্তব্য: বাংলাদেশের প্রশাসন এই কান্নার আওয়াজ কি শুনতে পাচ্ছে? প্লিজ, কিছু করেন।
সোলায়মান: পুলিশ প্রশাসন সচল হওয়ার পরও এতগুলো মানুষকে কীভাবে শীতলক্ষ্যায় নিয়ে ডোবানো গেল? তাহলে খুনিরা প্রশাসনের ভেতরেই রয়েছে—এ সন্দেহ করলে কি অমূলক হবে?
মো. মনিরুল হাসান: চারদিকে শকুন, হায়েনার জয়জয়কার; সাধারণ মানুষের কলিজা ঠুকরে খাচ্ছে। আমরা কি এই আতঙ্ক রেখে যাচ্ছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য?
মো. জহিরুল ইসলাম: রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব কার? এই প্রশ্নের উত্তর কি সরকার জানে না?
রাজু: বাংলাদেশি হিসেবে আমি লজ্জিত। আল্লাহ, আপনি এই জালেমদের হাত থেকে আমাদের ও দেশকে রক্ষা করেন।
মাহফুজা বুলবুল: 'সব লাশের হাত-পা ছিল দড়ি দিয়ে বাঁধা, পেট চেরা। মনে পড়ছে কিশোর ত্বকীকে। তাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ত্বকীর মা-বাবা এখনো ত্বকীর হত্যাকারীদের হুমকি মাথায় নিয়ে বিচারের আশায় কাঁদছেন। ত্বকী হত্যার বিচার হলে আজকের এ নৃশংস ঘটনা নারায়ণগঞ্জবাসীকে দেখতে হতো না।
'মাঝে মাঝে লোডশেডিং ভালো'
অতীত স্মরণ রাখতে মাঝে মাঝে কিছুটা লোডশেডিং হওয়া ভালো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। এর সমালোচনা করে পাঠক আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের লিখেছেন: মানুষ ব্যর্থ হলে লজ্জিত হয়, উত্তীর্ণ হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে। আর এসব মানুষ ও তাঁর দল মানুষের কষ্ট নিয়ে উপহাস করে।
মাহফুজা বুলবুল: অতীতকে স্মরণ করবে শুধু সাধারণ জনগণ, তা সে যে অতীতই হোক। আর ভাগ্যবান ক্ষমতাসীনেরা ক্ষমতার স্বাদ-গন্ধে বিভোর হয়ে থাকবেন।
সোহেল: মাঝে মাঝে লোডশেডিং হলে খাম্বা যুগের মোমবাতি মিছিলের কথা মনে পড়ে!
সুজন: সাধারণ পাবলিকের ঘরে এসে গরমের যন্ত্রণা উপভোগ করে এমন মন্তব্য করতে পারলে
আপনার কথা মেনে নেব।
এস দেওয়ান: ঠিকই বলেছেন। লোডশেডিং না হলে মানুষ বিদ্যুৎচালিত জিনিসগুলো বন্ধ করতে চায় না। লোডশেডিং হলে ওই সব জিনিস শীতল হওয়ার সুযোগ পায়।
মো. হাসনাইন ফয়সাল: লোডশেডিংটা শীতকালে দিলে হতো না!! গরমে মানুষকে কষ্ট দিয়ে লাভ কি?
কামাল: জনগণের সেবা খোলা মন নিয়েই করতে হয়। আপনাদের হাতে চাবি আছে, তাই অসহনীয় গরমে লোডশেডিং দিয়ে অতীত মনে করাতে চান। তাহলে সাধারণ জনতাও দিন গুনতে থাকবে, কবে সময় আসবে সেই চিন্তায়। দেশকে আর দেশের মানুষকে ভালোবাসেন, কাজ করেন দেশসেবার মানসিকতা নিয়ে। সাধারণ জনতা কিছুই ভোলে না।
রুবাইয়াত হাসান: মাঝে মাঝে সরকার বদল হওয়া ভালো! তাহলে দুঃশাসনটা মানুষ ভুলে যাবে না!
ভারতের পরবর্তী পররাষ্ট্রনীতি
ভারতের নির্বাচনে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি কেমন হতে পারে—এ ব্যাপারে এই কলামে আলোকপাত করেছেন যশবন্ত সিং। তিনি ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ব্যাপারে আসিফুল হকের মন্তব্য: প্রতিবেশীকে বিপদে ফেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারে না। বাংলাদেশকে বিপদে ফেলা হলে আপনারা নিজেদের দেশেরই বিপদ ডেকে আনবেন। এই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া আর আপনাদের সেনাবাহিনী দিয়ে সেই বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন না।
এছলাম সরকার: সাফ কথার মানুষ যশবন্ত সিং কূটনীতির ঘোমটা পরতে পছন্দ করেন না। এখানে তিনি যে সরল বক্তব্যটি দিয়েছেন, তার গরলার্থ হলো, এই অঞ্চলে ভারতকে আঞ্চলিক পুলিশ হতে হবে।
তবে এই আকাঙ্ক্ষার সবচেয়ে বড় বাধা যে চীনারা, এটি ভারতের সামরিক পরিকল্পকেরা জানেন। ইসরায়েল-আমেরিকার অধীনে সন্ত্রাস দমনের প্রশিক্ষণের নামে আধুনিক অস্ত্র ক্রয় সত্ত্বেও এক চীনা ধাক্কায় যে সব ঝরঝর করে ভেঙে পড়বে।
প্রবীর পাল: সরকার পরিবর্তন হলেও বড় গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন খুব ঝট করে হয় না। তাই অযথা ভয়ে জর্জরিত হওয়ার কিছু নেই।
একসঙ্গে সাত ব্যক্তি অপহরণের তিন দিন পর বুধবার নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলামসহ ছয়জনের লাশ পাওয়া যায়। ওই দিন শহরে স্বজন-সতীর্থদের কান্নার রোল পড়ে যায়। ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে পাঠক জে হোসেইনের মন্তব্য: বাংলাদেশের প্রশাসন এই কান্নার আওয়াজ কি শুনতে পাচ্ছে? প্লিজ, কিছু করেন।
সোলায়মান: পুলিশ প্রশাসন সচল হওয়ার পরও এতগুলো মানুষকে কীভাবে শীতলক্ষ্যায় নিয়ে ডোবানো গেল? তাহলে খুনিরা প্রশাসনের ভেতরেই রয়েছে—এ সন্দেহ করলে কি অমূলক হবে?
মো. মনিরুল হাসান: চারদিকে শকুন, হায়েনার জয়জয়কার; সাধারণ মানুষের কলিজা ঠুকরে খাচ্ছে। আমরা কি এই আতঙ্ক রেখে যাচ্ছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য?
মো. জহিরুল ইসলাম: রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব কার? এই প্রশ্নের উত্তর কি সরকার জানে না?
রাজু: বাংলাদেশি হিসেবে আমি লজ্জিত। আল্লাহ, আপনি এই জালেমদের হাত থেকে আমাদের ও দেশকে রক্ষা করেন।
মাহফুজা বুলবুল: 'সব লাশের হাত-পা ছিল দড়ি দিয়ে বাঁধা, পেট চেরা। মনে পড়ছে কিশোর ত্বকীকে। তাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ত্বকীর মা-বাবা এখনো ত্বকীর হত্যাকারীদের হুমকি মাথায় নিয়ে বিচারের আশায় কাঁদছেন। ত্বকী হত্যার বিচার হলে আজকের এ নৃশংস ঘটনা নারায়ণগঞ্জবাসীকে দেখতে হতো না।
'মাঝে মাঝে লোডশেডিং ভালো'
অতীত স্মরণ রাখতে মাঝে মাঝে কিছুটা লোডশেডিং হওয়া ভালো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। এর সমালোচনা করে পাঠক আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের লিখেছেন: মানুষ ব্যর্থ হলে লজ্জিত হয়, উত্তীর্ণ হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে। আর এসব মানুষ ও তাঁর দল মানুষের কষ্ট নিয়ে উপহাস করে।
মাহফুজা বুলবুল: অতীতকে স্মরণ করবে শুধু সাধারণ জনগণ, তা সে যে অতীতই হোক। আর ভাগ্যবান ক্ষমতাসীনেরা ক্ষমতার স্বাদ-গন্ধে বিভোর হয়ে থাকবেন।
সোহেল: মাঝে মাঝে লোডশেডিং হলে খাম্বা যুগের মোমবাতি মিছিলের কথা মনে পড়ে!
সুজন: সাধারণ পাবলিকের ঘরে এসে গরমের যন্ত্রণা উপভোগ করে এমন মন্তব্য করতে পারলে
আপনার কথা মেনে নেব।
এস দেওয়ান: ঠিকই বলেছেন। লোডশেডিং না হলে মানুষ বিদ্যুৎচালিত জিনিসগুলো বন্ধ করতে চায় না। লোডশেডিং হলে ওই সব জিনিস শীতল হওয়ার সুযোগ পায়।
মো. হাসনাইন ফয়সাল: লোডশেডিংটা শীতকালে দিলে হতো না!! গরমে মানুষকে কষ্ট দিয়ে লাভ কি?
কামাল: জনগণের সেবা খোলা মন নিয়েই করতে হয়। আপনাদের হাতে চাবি আছে, তাই অসহনীয় গরমে লোডশেডিং দিয়ে অতীত মনে করাতে চান। তাহলে সাধারণ জনতাও দিন গুনতে থাকবে, কবে সময় আসবে সেই চিন্তায়। দেশকে আর দেশের মানুষকে ভালোবাসেন, কাজ করেন দেশসেবার মানসিকতা নিয়ে। সাধারণ জনতা কিছুই ভোলে না।
রুবাইয়াত হাসান: মাঝে মাঝে সরকার বদল হওয়া ভালো! তাহলে দুঃশাসনটা মানুষ ভুলে যাবে না!
ভারতের পরবর্তী পররাষ্ট্রনীতি
ভারতের নির্বাচনে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি কেমন হতে পারে—এ ব্যাপারে এই কলামে আলোকপাত করেছেন যশবন্ত সিং। তিনি ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ব্যাপারে আসিফুল হকের মন্তব্য: প্রতিবেশীকে বিপদে ফেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারে না। বাংলাদেশকে বিপদে ফেলা হলে আপনারা নিজেদের দেশেরই বিপদ ডেকে আনবেন। এই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া আর আপনাদের সেনাবাহিনী দিয়ে সেই বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন না।
এছলাম সরকার: সাফ কথার মানুষ যশবন্ত সিং কূটনীতির ঘোমটা পরতে পছন্দ করেন না। এখানে তিনি যে সরল বক্তব্যটি দিয়েছেন, তার গরলার্থ হলো, এই অঞ্চলে ভারতকে আঞ্চলিক পুলিশ হতে হবে।
তবে এই আকাঙ্ক্ষার সবচেয়ে বড় বাধা যে চীনারা, এটি ভারতের সামরিক পরিকল্পকেরা জানেন। ইসরায়েল-আমেরিকার অধীনে সন্ত্রাস দমনের প্রশিক্ষণের নামে আধুনিক অস্ত্র ক্রয় সত্ত্বেও এক চীনা ধাক্কায় যে সব ঝরঝর করে ভেঙে পড়বে।
প্রবীর পাল: সরকার পরিবর্তন হলেও বড় গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন খুব ঝট করে হয় না। তাই অযথা ভয়ে জর্জরিত হওয়ার কিছু নেই।
No comments:
Post a Comment